তেতুল দিয়ে রুই মাছ

উপকরনঃ

  • রুই মাছ ৬ টুকরা
  • পিয়াজ কুচি দেড় থেকে দুই কাপ
  • শুকনা মরিচ ৪/৫ টি দুই টুকরো করে কেটে নেয়া
  • হলুদ গুড়া ১/২ চা চামচ
  • মরিচ গুড়া ১/২ চা চামচ
  • মেথি ১ চা চামচ
  • লবন সাদ মত
  • সরিষার তেল ১/২ কাপ পরিমান মত
  • ভাজা জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ
  • তেতুলের টক(কাথ) ২-৩ টেবিল চামচ বা সাদ অনুযায়ী
  • রসুন কোয়া ৭-৮ টি অর্ধেক করে কাটা
  • চিনি ১/২ চা চামচ
  • প্রস্তুত প্রাণালীঃ

    – মাছের টুকরো গুলোকে অল্প লবন হলুদ দিয়ে মাখিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। (চাইলে নাও ভাজতে পারেন)।

    – এবার একটি বাটিতে পিয়াজ কুচি,হলুদ-মরিচ গুড়া, লবন ও রসুন নিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। (মাছ না ভাজলে এই মিশ্রনের সাথে মাছ ও মাখিয়ে নিতে হবে)।

    – এরপর পানে তেল গরম করে মেথি ও মরিচ ফোড়ন দিয়ে পিয়াজের মিশ্রন টা দিয়ে হালকা নেড়ে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। প্রয়োজনে সামান্য পানি দেয়া যাবে।

    – কিছুক্ষন পর ঢাকনা খুলে তেতুলের টক, জিরা ভাজা ও চিনি দিয়ে কিসুক্ষন নারাচারা করে নামিয়ে নিতে হবে।

    এই রেসিপি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য লিখুন

    ছবি ও রেসিপিঃ ফারহিন রহমান ( Bangla Recipe.net)

  • Photo : CR  Untitled

আমাদের জীবন

আমার মনে হয় কি আমাদের জীবনটা তারার মতন। জ্বলতে জ্বলতে এক পর্যায়ে আমরা বিস্ফোরিত হই । আমরা ভাবি এখানেই আমাদের জীবন বুঝি শেষ। কিন্তু তা নয়। এই বিস্ফোরণের কষ্টের মধ্য দিয়ে আমরা সুপার নোভার মতন পরিবর্তিত হয়ে যাই । আমরা আরো বেশী ভালো হয়ে যাই আমরা নিজের দিকে যখন তাকাই ! এই বিস্ফোরিত রূপটা আগের চেয়ে আর বেশী অপরূপ হোয়ে উঠে। কষ্ট পেলে হতাশ হতে নেই। কষ্টের পরে যে পরিবর্তন আসে সেটা অনেক সুন্দর হয়। সোনা পুড়ে খাঁটি হয় !! কষ্টে ভেঙ্গে পড়না বরং কষ্টের অনুভূতিটাকে উপভোগ করো । আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো।#CR0001

life

Our life is like a star. When the pain is beyond our control we burst ourselves open; Pain feels so intense , we feel like we are dying; Guess what!!! in reality we are transitioning like stars and become supernova. when pain heals and we look at ourselves..We see that we’re suddenly became more exquisite than we ever were before! Experience the pain and wait for the wonders !! Choose Love and Love your life. Keep faith in God’s process #CR1054

download

শ্বশুর বাড়ি এবং বউ

আজকাল আবহাওয়া স্বর্গের মত সুন্দর। তাই ব্যাক প্যাকটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়লাম প্রকৃতির সাথে মিলিত হতে। সোনালি রোদে গাছের পাতা গুল চিক চিক করছিল। মনটা আমার ভীষণ আনন্দে হেসে উঠলো।
এখন এখানে বসন্ত কাল। বিভিন্ন রঙের ফুল ফুটেছে। গত দুমাস আগে যে গাছটা মরা ডাল নিয়ে ছিল, আজ ওটা গাঢ় হলুদ, অথবা লাল, বেগুনি আর কত কি রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে। ।
এই সিজনে আমি হাটতে ভালবাসি। আকশমনি, চেরি এবং আরো অনেক বন্য ফুলগুলোর সাথে আমার অনেক কথা হয়। সবুজ ঘাসের সোঁদা গন্ধ আমার বড্ড ভাল লাগে। হেটে যেতে যেতে কতো কি খুঁটি নাটি দেখি। আমার মনটা অসম্ভব ভাল লাগায় ভরিয়ে দেয়। এসব ই আমার সৃষ্টিকর্তার সাথে আমাকে একাত্ম করে দেয়। ফুলের পাপড়ি গুলো সারা পথ পুস্পময় করে রেখেছে। তারপর ফুলের পাপড়ি গুলো যখন গাছ থেকে উড়ে উড়ে আমার গায়ে এসে পড়ে আমি ভাবতে শুরু করি আল্লাহ্‌র রহমত আমাকে যেন ছুঁয়ে দিচ্ছে।
কি মিষ্টি আমাদের এই পৃথিবী ভাবছিলাম এবং এগুচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে পার্কের বেঞ্চে বসলাম। পাশের বেঞ্চের থেকে একটা মেয়ে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি ভাল করে চিন্তে পারলাম না। পরে ও বলল কয়েক বছর আগে আমি ওকে স্কুলে যেতে বলেছিলাম এবং কিছু উপদেশ দিয়েছিলাম । ও ওগুলো অনুসরন করেছে। ও স্কুলে পড়ে। ও এখন জব করে এবং পড়াশুনা করে। শ্বশুর বাড়ির সংসারের খরচ ও শেয়ার করে। তাই সংসারে শান্তি ফিরে এসেছে। ওর বর আমাকে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাল।
আসলে সত্যি বলতে কি আমি তাকে চিনতে পারিনি। আমি স্মৃতির পাতা ঘাটতে লাগলাম এবং মনে পড়ে গেলো কয়েক বছর আগে এমন এক সুন্দর দিনের ঘটনা। আমি প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পার্কের বেঞ্চে বসতে নিলাম। পাশের বেঞ্চে দেখলাম তিনজন বাঙ্গালি বসে আছে। এর মধ্যে একজন অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে এবং তার জীবনের কষ্ট গুলো শেয়ার করছে অন্য দুজন মেয়ের সাথে। আমি ওরা ওদের ব্যক্তিগত কথা বলছে বলে উঠে দাড়ালাম অন্য বেঞ্চে যাবার জন্য। হঠাৎ ওদের একজ্ন আমাকে ডাকল আমি
ফিরে তাকালাম ও আমারিকার বাংলাদেশ এমব্যাসির একজন কন্সুলারের মেয়ে। টুয়েলবথ গ্রেড এ পড়ে। আমাকে বলে একটু আসবেন এখানে ? গেলাম।
আমি জিজ্ঞেশ করলাম উনি কাদছেন কেন? তখন ওই মেয়ে আমাকে বললো ওর সমস্যা। মেয়েটা এখানে নতুন এসেছে। তার বর দুটো জব করে। মেয়েটা সারাদিন বাসায় থাকে। শশুর শাশুড়ির সেবা, ননদ দেবরের আবদার। রান্না বান্না এসব করে। এতে মেয়েটির কোন সমস্যা নেই।
মেয়েটা শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদের উৎপীড়নে জরজরিত। যন্ত্রণা গুলো মানসিক ভাবে ওকে ভীষণ অসহায় করে তুলেছে। বাংলাদেশে মেয়েটা অনেক আদরে বড় হয়েছে। অনেক প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে উঠেছে।
এখন ওকে দিয়ে সারাদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটায়, বরের সাথে কথাটা পর্যন্ত বলতে দেয়না। আমি মেয়েটার চোখের জল মুছিয়ে দিলাম ওকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম। মেয়েটা বাচ্চার মত আমাকে ধরে রাখল। আমি ওকে ছাড়াতে গেলাম ও বলল আমি কি তোমাকে আরেকটু ধরে রাখতে পারি? । আমি বুঝলুম ও হীল হচ্ছে। আমি ওকে সময় দিলাম আলিঙ্গন নেবার জন্য, এক পর্যায় আমি অনুভব করলাম ও নিজেকে নিরাপদ ভাবতে শুরু করেছে। ওর মানসিক চাপ ও বিষন্নতাও কমে গেল। ওর মুখে অসাধারণ সুন্দর হাসি ফুটল। সুখ এবং দুঃখ মিলানো অপরুপ হাসি আমাকে প্রশান্তি দিলো। আমি বললাম তুমি মন খারাপ একদম করবেনা, আসলে তুমি
আপনজনদের ফেলে এসেছ তো তাই এমন মন খারাপ হচ্ছে। তুমি স্কুলে ভর্তি হও। পার্ট টাইম জব করো। তোমাকে সাবলম্বি হতে হবে। তোমার নিজেকে তৈরি করতে হবে. তুমি দেখে নিও সব ঠিক হয়ে যাবে। আর ঐ কন্সুলারের মেয়েকে বললাম তুমি ওর বরকে বলবে ওকে ইস্কুলে ভরতি করে দিতে। স্কুলে গেলে অন্য মানুষের সাথে মিশলে ওর মন ভাল থাকবে। ভাবিনি যে ও আমার কথা ফলো করবে। এটা দেখে ভাল লাগলো।
ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পার্কিং লটের দিকে যাচ্ছিলাম এবং ভাবছিলাম
যে মানুষ এত নির্মম হয় আমার বোধগম্য নয়। একটা মেয়ে যখন বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি যায় তখন মেয়েটা একটা অপরিচিত মানুষের কাছে অসহায় থাকে। শ্বশুর বাড়ির মানুষদের উচিৎ মেয়েটার সাথে সুন্দর আচরণ করে ওকে আপন করে নেয়া। এতে করে মেয়েটি ধীরে ধীরে বরের বাড়ির মানুষদের সুখে দুঃখে সামিল হতে শুরু করবে। এক পর্যায় ও বাড়িটাকে তার নিজের বাড়ি বলে ভাবতে শুরু করবে। আর যদি এই উৎপীড়ন অনবরত চলতে থাকে, মেয়েটি শ্বশুর বাড়িকে বদ্ধ খাঁচা বলে ভাববে এবং বরের বাড়ির মানুষদের সুখে দুঃখে সামিল হতে পারবেনা। আমাদের উচিৎ মনকে প্রসারিত করা। ঘরের বউদের নিজের মেয়ে হিসেবে ভালবাসা কারন আমাদের ই মেয়ে অথবা ভাগ্নি অন্যের ঘরের বউ হয়ে গেলে যদি তারা এমন ব্যবহার করে , তখন আপনার কি অনুভুতি হবে? ভাবুন না ? উত্তরটা কিন্তু আপনার জানা আছে। #CR1076
bbb

তৃতীয় বিশ্বের মেয়ে এবং শ্বশুর বাড়ী

আজ একটা মেয়ের সাথে কথা হোল। আমি তাকে জানিনা। আমারা ফ্রেন্ড লিসট এ ও নেই। ওকে এক্ টা কাল্পনিক নাম দেই কেমন। ওর নাম হল কবিতা। ও আমাকে ইনবক্স এ মেসেজ দিল। আমি বুঝলাম কবিতার কথা আমার শোনা উচিত। ওর দিকে আমি সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিলাম। শুনলুম। শুনে আমার মনটা বড্ড আহত হয়েছে । মেয়েটা বউ হয়ে ঢোকা মাত্র তার শ্বাশুড়ি এবং ননদরা ওর বাবার বাড়ির থেকে যৌতূক যা দিয়েছে তা পছন্দ হয়নি বলে বকতে শুরু করলো। প্রতিদিন বকা বকি শুনত। মেয়েটা সারা দিন কাঁদত।
কবিতা লেখা পড়া তেমন একটা করেনি। এভাবে দিন কেটে গেল । কিছুদিন পর ওদের এক টা ফুট ফুটে মেয়ে হোল। মেয়ে হয়েছে বলে তারা ওকে বকাবকি করতে লাগলো। তারপর মেয়ের নানা বাড়ি থেকে বিছানা, ব্লাঙ্কেট এসব দেয়নি বলে এক পর্যায়ে ওর মেয়েকে ওর শ্বাশুড়ি ফ্লোরে খালি গায়ে শুইয়ে দিল। কবিতার বাবার বাড়ি থেকে মেয়ের জন্য উপহার সোনার চেইন, জামা, ব্লাঙ্কেট দেয়া হোল। এই  সমস্যার একটা হিল্যে হল।
এখন আবার  আরেক অভিযোগ সেটা হোল কবিতার পুত্র সন্তান হয়নি ।
যেহেতু কবিতার পুত্র সন্তান হয়নি তাই ওর শ্বাশুড়ি এবং ননদ ওর বরকে আবার বিয়ে দিবে বলে ঠিক করেছে। বর ওকে ভালবাসে কিন্তু মা এবং বোনের উপরে কথা বলার মত সাহস নেই। এত দিন যে সব কষ্ট তারা দিয়েছে ওটা কবিতা কষ্ট হলেও ওদের দাবি পুরন করে  সইজ্য করে নিয়েছিলো।
কিন্তু পুত্র সন্তানের দাবি পুরন করাতো ওর হাতে নয়। তাই ও কষ্টে ভেঙ্গে পরেছে। আমি ওকে বোঝালাম।
কবিতাকে আমি লেখা পড়া চালিয়ে যেতে বলেছি।  কারন  কোন সমস্যা সমাধানের আগে আমাদের সাবলম্বি হওয়াটা খুবই আবশ্যক।
ওর বরের সাথে কথা বললাম। কিছু উপদেশ দিয়েছিলাম। অনুসরণ করার জন্য। বলেছে সে কবিতার পাশে থাকবে।  আমার বিশ্মবাস বর ওর পাশে  থাকবে ।
 
পুত্র সন্তানের আকাংখা তৃতীয় বিশ্বের বেশীর ভাগ বাবা মার মনে আজো বাসা বেঁধে আছে। পুত্র সন্তান না হোলে বর, শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ি মা গণের অনেক মন খারাপ লক্ষ্য করা যায়। ভাব খানা এমন যে পুরো দোষ যেন সন্তান সম্ভাবা ঐ মেয়েটির হাতে। গর্ভবতী মেয়েটি শারীরিক ভাবে ভীষণ দুরবল, মনের ভিতরে নানা আশংকা তার উপর শ্বশুর বাড়ীর মানুষের মানসিক উৎপীড়ন, এমনকি শারীরিক নির্যাতন মেয়েটিকে ভীষণ অসহায় করে তোলে। দুঃখের বিষয় এই যে এই অত্যাচারের কারন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আরেকজন মেয়ে। একবারো তারা ভাবেনা একটা মেয়ে তার বাবা মায়ের অনেক আদরের। সেই মায়া মমতা ছেড়ে সম্পূর্ণ একটা অচেনা পরিবেশে চলে আসে, তাকে সব কিছুর সাথে খাপ খাওয়াতে একটু সময় লাগে। ঐ মেয়েকে নিজের মেয়ে ভেবে আপন করে নিলে আপনার নিজের ছেলে ও শান্তি পাবে এবং পুরো সংসারে শান্তি নেমে আসবে। সুস্থ সমাজ গড়তে হলে আগে নিজ পরিবারের সুস্থতা দিয়ে শুরু করুন। – CR1076
12803311_1035937059783301_3584501412203002837_n

শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২৩

পাখির নরম পাখার ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম। ভুলে যাও সব কষ্ট, ক্লান্তি, ক্লেদ, সব ভুলভ্রান্তি, এ জীবন তো চলবেই যত দিন আমরা বেঁচে আছি। নতুন বছরের নতুন যাত্রা হয় যেনো সুখ আর শান্তিময়
এই কামনায় তোমাদের জানাই শুভ নববর্ষ । ।। বড়োদের জানাই সালাম। ভালো কাটুক সকলের আগামী বছর টা ।। সকলে ভালো থাকুন ।। সুস্থ থাকুন ।।

শুভ নববর্ষ ১৪২৩। আল্লাহর কাছে অশেষ ধন্যবাদ নতুন বছর উৎযাপন করার সুযোগ আমাদের সবাকে দেবার জন্য। আল্লাহ আমি জল ভরা চোখে অন্তর থেকে বলছি অনেক ভালবাসি তোমায়। বড্ড ভালবাসি তোমায়। ক্ষমা করে দাও আমাদের সবাকে। সঠিক পথে থাকার জ্ঞানে জ্ঞানী করো সবাকে। আমি ভাল করে কাব্যিক ভাবে শব্দ বসাতে পারিনা। তুমি আমার অন্তর টা দেখে নিও গো । CR1074

1601041_754709617897036_9034707620910814182_n (1)

 

 

কাশ্মিরী আমের আচার

উপকরনঃ
• কাচা আমঃ ১কেজি(আটি একটু শক্ত হলে ভাল মানে একদম কচি না)
• চিনিঃ ১কেজি
• শুকনো মরিচ কুচিঃ ২পিস
• আদা কুচিঃ ১ টেবিলচামচ
• সাদা ভিনেগারঃ ২ টেবিলচামচ
• লবনঃ ২ টেবিলচামচ

প্রনালীঃ

আম ধুয়ে ছোলা ও আটি ফেলে দিন।তারপর লম্বা ও ১ ইঞ্চি চওড়া করে কাটুন।
আমে লবন মাখিয়ে ৪ ঘন্টা রেখে দিন।কাঠের চামচ দিয়ে মাঝেমাঝে নাড়ুন।৪ ঘন্টা পর ৩-৪ বার আমগুলো ধুয়ে নিন যাতে লবন চলে যায়।ঝাঝড়িতে রেখে পানি ঝড়িয়ে নিন।
কড়াইতে আম,চিনি ও আদা কুচি দিয়ে ১৫ মিনিট মাঝারি আচে রান্না করুন।
এখন ভিনেগার ও শুকনোমরিচ কুচি দিয়ে অল্প আচে ৩০ মিনিট বা সিরা ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।চুলা বন্ধ করে শুকনো বোতলে সংরক্ষন করুন।

SONY DSC

উপলব্ধি

আমি একটু আগে Best Buy স্টোরে গিয়ে কি কি নতুন এলে্ট্রনিক্স এসেছে দেখছিলাম। হঠাৎ একজনের কষ্টের ব্যাপারটা মাথায় এল। অন্যরা ওকে কটাক্ষের ঘায়ে জর্জরিত করে। আর ও শুধু বলে আল্লাহ আমার সাথে সব সময় কেন এমন করে বলতে পারেন? যাই হোক তখন আমি ঐ মেয়েটার ব্যথার গভীরতা ভাবতে গিয়ে নিজেকে ঠিক ওর যায়গাতে বসালাম। আমি জানি পাঠক হাসছে :D। তোমরা ভাবছ এলে্ট্রনিক্স এর দোকানে গিয়ে আমার মন মনের জগতে কেন বিচরণ করছে?:D ঐযে কথা আছেনা মানুষের মন আকাশের রং। কখন কোন রং নিয়ে মেতে উঠে বলা কঠিন। যাই হোক আমি তার কষ্টের গভীরতা অনুভব করতে লাগলাম। এক পর্যায়ে আমি তার সমস্যার শিকড়ে পৌঁছে গেলাম। বিশ্লেষণের এক পর্যায়ে সমাধান পেয়ে গেলাম। আমি মেয়েটাকে কল করে বললাম আমার সমাধানের কথা। ও খুশিতে ডুকরে কেঁদে উঠলো। তারপর অনেক কৃতজ্ঞতা জানালো। আমি ওর আনন্দের ভাইব অনুভব করলাম। ওর আনন্দের ধারা আমার মনকে আনন্দিত করে দিল।
আমাদের সবার উচিৎ অন্যকে সমালোচনা এবং আল্লাহকে কে দোষারোপ না করে অন্যের ব্যথার গভীরতাকে অনুভব করা। আমরা যখন অন্য কারো ব্যথার গভীরতা টা ভাবতে শুরু করি। তখন আমরা অন্যকে সুস্থ করে তুলি। অন্যের সুস্থতার সাথে সাথে আমাদের অন্তর ও পরিচ্ছন্ন হতে থাকে। এতে করে আমাদের অন্তরে প্রশান্তি বিরাজ করতে শুরু করে. আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞ এত সুন্দর জীবন আমাকে দেবার জন্য। আমি বিশ্বাস করি একজন মানুষ যখন একটা মহান লক্ষ্য নিয়ে চলে, তাকে মানুষের এবং সুযোগের
পিছনে ধাওয়া করতে হয়না। তার আলোয় মানুষ এবং সুযোগ আকৃষ্ট হয়ে তার কাছে আসে। কোন কিছু পাবার প্রত্যাশা না করে অন্যের ভাল করে যেতে থাক । মনে রেখ যিনি আমাদের তৈরি করেছেন তিনি গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড কে দেখেন। আমরা আমাদের চোখের সামনের করেক ফিট দেখি মাত্র। মহান আল্লাহর প্লানের উপর আমাদের বিশ্বাস রাখা এবং একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।
CR1073

12974491_1105502392824581_6680019384205154145_n